ইকবাল খান: [২] নির্বাচনী সমাবেশে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনার জন্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই দায়ী করছেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান দল। 

[৩] যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট জনেরা সমাবেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও রিপাবলিকানরা সরাসরি বাইডেনকে দায়ি করেছেন। 

[৪] আনন্দবাজার জানায়, রিপাবলিকান সিনেটর জেডি ভ্যান্স তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারের বেশির ভাগ জুড়েই ছিল ট্রাম্পের নিন্দা। তিনি বার বার দাবি করেছেন, ট্রাম্প একজন স্বৈরাচারী তথা ফ্যাসিস্ট, তাই তাঁকে যেনতেনপ্রকারেণ ক্ষমতায় আসা থেকে আটকাতে হবে। বাইডেনের এ হেন উস্কানিমূলক কথাই আজ এই ধরনের ঘটনার দিকে নিয়ে গেছে।’’ 

[৫] প্রসঙ্গত, ভ্যান্স আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের তরফে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন।

[৬] ঘটনায় ক্ষুব্ধ আর এক রিপাবলিকান নেত্রী মার্জোরি টেলর গ্রিনের দাবি, ডেমোক্রেট ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকদের নিকেশ করতে চান। বেনি টমসনের নেতৃত্বে হাউস ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পকে আমেরিকান সিক্রেট সার্ভিস সুরক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার জন্য একটি বিল পর্যন্ত উত্থাপন করেছিল। 

[৭] রোববার এক সাক্ষাৎকারে গ্রিন জানান, ‘‘আমরা ভুলব না, আজকের কথা রিপাবলিকানরা মনে রাখবে।’’ এ ছাড়াও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘আজ প্রতি বিন্দু রক্তপাতের জন্য একমাত্র মিডিয়া এবং ডেমোক্রেটরাই দায়ী।’’

[৮] মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা মাইক কলিন্সও হামলার জন্য সরাসরি বাইডেনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। কলিন্স সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘খুনের চেষ্টায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য রিপাবলিকান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির উচিত এখনই বাইডেনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া।’’

[৯] শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে একটি নির্বাচনী সভায় মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখতে শুরু করলে পর পর তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। [১০] দু’হাতে কান চেপে মঞ্চেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। দ্রুত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মঞ্চ থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নিয়ে যায় সিক্রেট সার্ভিস বাহিনী। 

[১১] সভাস্থলে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। 

[১২] ঘটনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। গুলি আমার কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে। ডান কানের উপরের দিকের চামড়া গুলিতে চিরে গিয়েছেৃ আমাদের দেশে যে এমনটা ঘটতে পারে, ভাবতেই পারি না।’’ 

[১৩] দলমত নির্বিশেষে ট্রাম্পের সভায় এই হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন মার্কিন রাজনৈতিক নেতারা। 

[১৪] বিবিসি জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের হিংসার কোনও জায়গা নেই। আমাদের একজোট হয়ে এই হিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত এবং এর নিন্দা করা উচিত।’’ হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।

[১৫] যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, কংগ্রেস এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করবে। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “মার্কিন জনগণ সত্য জানার অধিকার রাখে।”